খ্রীষ্টধর্মে সাধুসাধী কাদের বলা হয়?

 







যখনই কোনও ব্যাক্তি একটি ক্যাথলিক গীর্জায় গিয়ে প্রবেশ করেসচরাচর সে দেখে বিশেষ কয়েকজন মানুষের চিত্র দেওয়ালে টাঙানো আছে বা কয়েকজনের মূর্তি রাখা আছে খ্রীষ্টমণ্ডলীর সাধুসাধীদের সম্বন্ধে মানুষকে অবগত করবার জন্য এই ব্যাবস্থা করা হয়েছে বিনা কারণে আমরা কারও চিত্র বা মূর্তি রাখি না সে যেখানেই হোক না কেন যেমন ধরুন আমরা বিখ্যাত মনিষী ও ইতিহাসের গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের ছবি ও মূর্তি বিভিন্ন স্থানে দেখতে পাই সরকারি কার্যালয়েস্কুল কলেজে কিংবা কোনও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে আমরা ঐ সকল ব্যাক্তিদের স্রদ্ধা ও সম্মান জানাতেই এই ব্যাবস্থা করে থাকি তবে সাধুসাধীদের সঙ্গে মনিষী ও ইতিহাসের গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথে তুলনা করা চলে না তারা একেবারেই ভিন্ন শ্রেণীর মানুষ সাধুসাধী কাদের বলা হয়এই নিয়ে প্রতিটি মানুষের কমবেশি জ্ঞান আছেই তবে খ্রীষ্টধর্ম অনুযায়ী সাধুসাধী কাদের কে বলা হয়এ বিষয়ে সকলে অবগত নয়আসুন, আজ আমরা সে বিষয়ে জেনে নেব।

 

বাংলায় ‘সাধুসাধী’, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘Saint’ এই ‘Saint’ কথাটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘Sanctus’ থেকেযার অর্থ হলো পবিত্র বা যাকে আলাদা করে রাখা হয়েছে (Set Apart) অর্থাৎ সাধুসাধী হলো তারাযারা পবিত্র ক্যাথলিক মণ্ডলীতে দিক্ষাস্নান (Baptism) গ্রহণের মাধ্যমে প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে নিজের ত্রাণকর্তা বলে স্বীকার করে নেয়এবং পবিত্র আত্মার প্রেরণায় ঈশ্বরের অনুগ্রহের সাহাজ্যে বিশুদ্ধ ও নিষ্কলঙ্ক জীবনযাপন করে এবং তার উপর অর্পিত সকল খ্রীষ্টীয় কর্তব্য পালন করার পর মৃত্যু বরণ করে স্বর্গে ঈশ্বরের সান্নিধে গিয়ে পৌঁছায়কোন ব্যাক্তি কখনই নিজেকে সাধু বা সাধী বলে ঘোষণা করতে পারে না তা করাটা আসলেই একজন ব্যাক্তির সাধু বা সাধী হয়ে ওঠার বিপরীত সাক্ষ্য দেবে এবং তাকে ভন্ড বলে প্রমাণ করবে প্রতিটি খ্রীষ্টানের কর্তব্যসে যেন একজন সাধু কিংবা সাধী হয়ে ওঠে পবিত্র বাইবেলে প্রভু ঈশ্বর সকলকে তাঁরই মতো পবিত্র হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন যেন তাদের মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরের আপন মহিমা ও পবিত্রতা প্রকাশ পায় ঈশ্বরসাধুসাধীদের মাধ্যমে বিভিন্ন অলৌকিক কাজকর্ম করে থাকেন ঐ সমস্ত অলৌকিক কাজকর্ম তাদের উপর থাকা ঈশ্বরের বিশেষ দানকে ইঙ্গিত করে প্রতিটি সাধুসাধী এক সময় সাধারণ মানুষ ছিলঅনেক সময় তারা ঘোর পাপময় জীবনযাপন করেছেকিন্তু যীশু খ্রীষ্টের সান্নিধ্যে আসা কোন মানুষই আর আগের মতো আর থাকে না বরং কেউ যদি খ্রীষ্টের সান্নিধ্যে থাকার পরেও যদি উচ্চস্থরের (সাধুসাধীমানুষে পরিণত হতে না পারেতাহলে তার খ্রীষ্টীয় জীবনকে ব্যর্থ বলেই মনে করা হয় প্রতিটি সাধুসাধীদের জীবন পরিস্থিতিসংস্কৃতিভৌগোলিক অবস্থানশিক্ষাগত যোগ্যতাতাদের আহ্বানের সময় ছিল পরস্পরের থেকে একেবারেই আলাদা তবুও তারা সকলেই খ্রীষ্টের সঙ্গে ছিল একতাবদ্ধ

 

খ্রীষ্টমণ্ডলীর সাধুসাধীরা আমাদের সামনে রেখে গেছেন খ্রীষ্টীয় জীবনের জ্বলন্ত উদাহরণ তাঁরা আমাদের দেখিয়ে গেছেন কেমন ভাবে জীবনযাপন করলে আমরা খ্রীষ্টীয় জীবনের সকল দাবী পূরণ করতে পারি ঠিক এই কারণে পবিত্র ক্যাথলিক মণ্ডলী সাদুসাধীদের বিশেষ ভক্তি-শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকে মণ্ডলী তাদেরকে “ঈশ্বরের বন্ধু” বলে ডাকে ক্যাথলিক মণ্ডলী কী কাউকে সাধু বানায়নাকাউকে সাধুসাধী করবার ক্ষমতা তার নেই এ ক্ষমতা শুধুমাত্র ঈশ্বরের আছে ক্যাথলিক মণ্ডলী শুধু এ কথা স্বীকার করে যেএই ধরণের একজন ব্যাক্তি প্রভু ঈশ্বরের অনুগ্রহের সাথে এমন ভাবে সহযোগিতা করেছে যেতার পবিত্র জীবন সন্দেহের বাইরে ক্যাথলিক মণ্ডলী ক্যানোনাইজেসান (Canonization) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই কথা মানুষের কাছে প্রকাশ করেক্যানোনাইজেসান (Canonization) হলো খ্রীষ্টমণ্ডলীর একটি বিশেষ আনুষ্ঠানিক ধর্মীয় প্রক্রিয়া যার দ্বারা : একজন ব্যাক্তিকে জনসাধারণের শ্রদ্ধার যোগ্য বলে ঘোষণা করা ২মণ্ডলীর ঘষিত ও স্বীকৃত সাধুসাধীদের অনুমোদিত তালিকায় নাম নথিবদ্ধ করা এবং ৩সম্পূর্ণ খ্রীষ্টমণ্ডলীর উপর সেই সাধু বা সাধীকে শ্রদ্ধা আরোপ করা

 

খ্রীষ্টমণ্ডলীর প্রারম্ভিক সময় থেকেইসাধুসাধীদের জীবনতাদের শহীদ বরণ এবং তাদের অলৌকিক ঘটনার অনেক বর্ণনা সংরক্ষিত করা হয়েছে এগুলিকে বলা হয় সিনাক্সারিয়া (গ্রীক শব্দ সিনাক্সিস “Synaxis” থেকেগীর্জায় লিটারজিকাল উদ্দেশ্যে একটি সমাবেশ হয়যেখানে সাধুদের জীবনী পঠিত হয়)।

 

পবিত্র খ্রীষ্টমণ্ডলী সাধুসাধীদের আমাদের হয়ে ঈশ্বরের কাছে মধস্ত প্রার্থনা করতে বলে যেহেতু তাঁরা ঈশ্বরের পরম পবিত্র সান্নিধ্যে রয়েছে এবং আমাদের মতো তাঁরা আর পাপ অবস্থায় নেই পরে আর এক স্বর্গদূত বেদির পাশে এসে দাঁড়ালেনতাঁর হাতে একটা সোনার ধূপদানি ছিলএবং তাঁকে প্রচুর ধূপধুনো দেওয়া হলতিনি যেন সিংহাসনের সামনে বসানো সেই সোনার বেদীর উপরে তা নিবেদন করেন সকল পবিত্রজনদের প্রার্থনার সঙ্গে তাই স্বর্গদূতের হাত থেকে পবিত্রজনদের প্রার্থনার সঙ্গে ধূপধুনোর ধোঁয়া ঊর্ধ্বে ঈশ্বরের কাছে যেতে লাগল”…(প্রত্যাদেশ ৮:-)

 




সাধুসাধীদের শ্রেণী

পবিত্র খ্রীষ্টমণ্ডলী সাধুসাধীদের সাতটি শ্রেণীতে সনাক্ত করে থাকে তার সাথে এটাও আমদের মনে রাখতে হবেএকজন নির্দিষ্ট সাধু কিংবা সাধীএকাধিক শ্রেণীর অন্তর্গত হতে পারে আসুন জেনে নিই

 

) প্রেরিতশিষ্য (Apostles): প্রেরিতশিষ্যরা সেই এগারোজনযারা প্রভু যীশুকে বিশ্বস্তভাবে অনুসরণ করেছেন এবং মঙ্গলসমাচার প্রচারের জন্য যাঁরা সব রকমের অত্যাচার সহ্য করে শেষে মৃত্যু বরণ করেছিলেনশুধুমাত্র সাধু যোহন ছাড়া অন্যদিকেযুদা ইস্কারিয়ত যীশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে পড়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন

) ঈশ্বরের বাণীপ্রচারক (Evangelists): চারজন মঙ্গলসমাচার লেখকের মধ্যে দুজন ছিলেন প্রেরিত শিষ্যসাধু মথি এবং সাধু যোহন সাধু মার্ক ও সাধু লুক ছিলেন প্রেরিত শিষ্যদের সহকর্মী এনারা যীশুর মনোনীত শিষ্যদের মধ্যে ছিলেন না এছাড়াও আছেন সেই বাহত্তর জনযাদের প্রভু বাণীপ্রচার করতে পাথিয়ে ছিলেন… (লুক ১০:)  

) খ্রীষ্টশহীদ (Martyrs): প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নাম বহন করবার জন্যতাঁর পবিত্র বাণী প্রচার করবার জন্য কিংবা তাঁর বিষয়ে সাক্ষ্য দেবার জন্য যাদের প্রাণে মেরে ফেলা হয় তাঁরাই হলেন খ্রীষ্টশহীদ পবিত্র বাইবেলে প্রথম খ্রীষ্টশহীদ হলেন সাধু স্তেফান বা St. Stephen (শিষ্যচরিত ৭:৫৯-৬০)

কাউকে খ্রীষ্টশহীদ বলে ঘোষণা করবার তিনটি শর্ত আছে : প্রথমত সেই ব্যাক্তিকে পৈরিত্তিক ক্যাথলিক মণ্ডলীর সদস্য হতে হবে এবং তাঁর সাথে অন্যান্য মিথ্যা ধর্মকে অস্বীকার করতে হবে  দ্বিতীয়তসেই ব্যাক্তিকে এমনই একজনের বাহ্যিক শত্রুর হাতে হত্যা হবেযে খ্রীষ্টধর্মের প্রতি চূড়ান্ত ঘৃণা পোষণ করে এবং সেই কারণে তাঁকে হত্যা করেছে তৃতীয়তসেই ব্যাক্তি ঈশ্বরের বাণী স্বীকার করে মৃত্যু বরণ করে

) স্বীকারকারী (Confessors): এই শ্রেণীর মধ্যে যে কেউই আসতে পারেন সে একজন ধর্মপিতাধর্মপালযাজক কিংবা সাধারণ খ্রীষ্টবিশ্বাসীও হতে পারে যারা খ্রীষ্টধর্ম বিরোধীদের কাছ থেকে চূড়ান্ত অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করেও নিজের খ্রীষ্টীয় বিশ্বাসকে মানুষের সামনে প্রকাশ করে এবং নিজের ধর্মকে অস্বীকার করে নাতাদেরই বলা হয় স্বীকারকারী

) খ্রীষ্টমণ্ডলীর শিক্ষক (Doctors Of The Church):   খ্রীষ্টমণ্ডলীর শিক্ষক তাদের বলা হয়যারা দক্ষতার সঙ্গে খ্রীষ্টধর্মের মৌলিক বিশ্বাসকে মানুষের কাছে ব্যাখ্যা করেছে এবং খ্রীষ্টধর্মকে অবিশ্বাসীদের মৌখিক আক্রমণ থেকে প্রতিরক্ষা করছে

২০শে সেপ্টেম্বর ১২৯৫ এ, বনিফেস ত্রয়োদশ দ্বারা এই উপাধি দেওয়া প্রথম সাধুরা হলেনসাধু অ্যামব্রোসসাধু অগাস্টিনসাধু জেরোম এবং সাধু গ্রেগরি দ্য গ্রেট পরবর্তী যোগ করা হয়েছে সাধু থমাস অ্যাকুইনাস এবং তারপর থেকে তালিকায় ত্রিশ জনেরও বেশি মণ্ডলীর শিক্ষককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে খ্রীষ্টমণ্ডলীর অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে সাধু অ্যানসেলমসাধু পিটার ডেমিয়েনসাধু রবার্ট বেলারমাইন এবং সাধু আলফোনাস লিগুরি

) কুমারীগণ (Virgins): পবিত্র বাইবেলের প্রথম করিন্থীয়তে সাধু পল কুমারী বা অবিবাহিত নারীদের জন্য একটি বিশেষ ভূমিকার কথা বলেছেন এবং ২ করিন্থীয় ১১:২ এসাধু পল খ্রীষ্টের নববধূ হিসাবে মণ্ডলীর রূপকটির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন এই বলে: কারণ আমি তোমাদের সুচরিত্রা কুমারী বলে সেই একমাত্র বর খ্রীষ্টের কাছে উপস্থিত করার জন্য বাগদান করেছি কিছু সাধু তাদের সমগ্র জীবন প্রার্থনা এবং খ্রীষ্টীয় সেবায় জীবন নিবেদিত করার জন্য বিবাহিত জীবন ত্যাগ করেছেন কুমারীগণের মধ্যে রয়েছেন সাধী মার্সেলিনাসাধি জেনেভিভ এবং সাধী থেরেসি অফ লিসিউক্স। আজও ক্যাথলিক মণ্ডলীতে কিছু নারীরা তাদের ধর্মপালের দ্বারা সম্পাদিত পবিত্রতার ধর্মীয় আচারে অংশ নিয়ে পবিত্র কুমারী হিসাবে খ্রীষ্টীয় জীবনযাপন করতে বেছে নেয়তবে ধর্মীয় সন্ন্যাসিনী হিসাবে নয়

পবিত্র নরনারীগণ (Holy Men and Women): এঁরা খ্রীষ্টশহীদ নন আবার কুমারীগণও ননএঁরা সেই সকল সাধারণ খ্রীষ্টান যারা সারাজীবন যীশু খ্রীষ্টের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেতাঁর বাণী সকল মেনে চলে পবিত্র ভাবে জীবনযাপন করে স্বর্গে বিশেষ স্থান লাভ করেছেন এনাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসাধী এলিজাবেথ অ্যান সেটন সর্বপ্রথম আমেরিকান সাধীযিনি সর্বপ্রথম ক্যানোনাইজড ছিলেনতিনি প্রোটেস্ট্যান্টবাদ থেকে ক্যাথলিক মণ্ডলীতে যোগদান করেছিলেন তিনি তার পরিবারের কাছ থেকে কঠিন প্রতিরোধ এবং বহিষ্কৃত হওয়া সত্ত্বেওমেরিল্যান্ডের এমিটসবার্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ক্যাথলিক বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেখানে তিনি সিস্টার অফ চ্যারিটি নামে ধর্মীয় কুমারিদের জন্য প্রথম আমেরিকান মঠ প্রতিষ্ঠা করেন তিনটি মৌলিক বিষয় তাকে ক্যাথলিক হতে বাধ্য করেছিল: পবিত্র রুটিতে যীশুর প্রকৃত উপস্থিতিপ্রভু যীশু খ্রীষ্টের মায়ের প্রতি ভক্তি এবং প্রত্যয় যে ক্যাথলিক মণ্ডলী একা তার প্রেরিত শিষ্যদের উত্তরাধিকারের ও পরম্পরার মাধ্যমে প্রেরিত শিষ্য এবং যীশু খ্রীষ্টের সঙ্গে যুক্ত

 

উপসংহার

সাধু বা সাধী হওয়া খ্রীষ্টীয় জীবনের চরম লক্ষ্য প্রত্যেক খ্রীষ্টানের উচিত সেই লক্ষ্যে পৌঁছান অনেকে মনে করেনএটা খুব কঠিন ব্যাপ্যার তবে কেউ যদি খ্রীষ্টের বাণী অনুসারে নিষ্ঠার সঙ্গে জীবন যাপন করতে থাকে এবং অন্যান্য সাধুসাধী ব্যাক্তিদের জীবনযাপনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করেতাহলে সেও একদিন তাদেরই মতো হয়ে উঠবেএতে সেই ব্যাক্তির মাধ্যমে খ্রীষ্টের নিজের রূপ ফুটে ওঠে আমাদের লক্ষ্য স্বর্গে পৌঁছানো এবং ঈশ্বরকে দেখা আমাদের জীবনের পরিস্থিতি নির্বিশেষেআমরা নিশ্চিত হতে পারি যে এমন সাধু আছেন যারা আমাদের উৎসাহউদাহরণ এবং মধ্যস্থতা প্রদান করতে পারেন পবিত্র ক্যাথলিক মণ্ডলী ১০,০০০ টিরও সাধুসাধীকে সম্মান জানিয়েছে কিন্তু আমরা জানি যে স্বর্গে সাধুসাধীদের সংখ্যা অনেক বেশি মঙ্গলসমাচার লেখক সাধু যোহন স্বর্গে একটি বিশাল জনতা দেখেছিলেনযাকে কেউ গণনা করতে পারেনি (প্রত্যাদেশ ৭:সেই কারণেআমরা প্রতি বছরের ১লা নভেম্বর সমস্ত সাধুসাধীদের দিবস উদযাপন করি

 

নবীনতর পূর্বতন