ছবি সংগ্রহঃ সালোম নিউজ |
পিউ রিসার্চ সেন্টারের একটি নতুন তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে ১৬০ টিরও বেশী দেশে খ্রীষ্টান সম্প্রদায় হয়রানি ও অত্যাচারের শিকার হয়েছে। ১৯০টি দেশের উপর করা এই বিশদ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সরকার কর্তৃক বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় নির্যাতনের ঘটনার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। ২০০৭ সালে এই গবেষণা শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৮৩টি সরকার এ ধরনের নির্যাতনে জড়িত আছে বলে জানা গেছে। বিশেষ ভাবে মুসলিম প্রধান দেশগুলিতে খ্রীষ্টানদের উপর অমানবিক অত্যাচার, গীর্জায় হামলা, খ্রীষ্টান নারী ও শিশুদের অপহরণ, ধর্ষণ এবং তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় বাঁধা দেওয়ার মত ঘটনা এখন নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পিউ-টেম্পলটন গ্লোবাল রিলিজিয়াস ফিউচার্স প্রকল্পের অংশ হিসাবে করা এক গবেষণায় দেখা যায় যে, সামাজিক উত্তেজনা এবং সরকারি নীতি, উভয়ই খ্রীষ্টানদের ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নির্যাতনে ভূমিকা রাখে। বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায় হিসাবে খ্রীষ্টানদের শারীরিক নির্যাতন থেকে শুরু করে আপত্তিজনক ও অশ্লীল কটুক্তি পর্যন্ত, অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের ১৫৫টি দেশের তুলনায় ২০২১ সালে সরকারিভাবে খ্রীষ্টানদের নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে; সে সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬০টি দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খ্রীষ্টানদের ধর্মীয় মতাদর্শের জন্য শারীরিক হামলা ও সম্পত্তি ধ্বংসের ঘটনাও জানা গেছে।
ধর্মীয় নেতাদের হয়রানি ও ধর্মীয় আইন জারি করার পাশাপাশি কীভাবে কিছু কিছু দেশ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে অর্থ সাহায্য করে, এই রিপোর্টে সেই দ্বিধান্দ্বিক দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে। ২০২১ সালে সারা বিশ্বে সরকারিভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতায় আরো কড়াকড়ি আনা হয়েছে, এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় গড়পড়তা সীমাবদ্ধতার স্তর বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্য দিয়ে। কঠোর সরকারি বিধিনিষেধ জারি করা দেশের সংখ্যা কিছুটা কমে যাওয়ার পরেও সামগ্রিকভাবে গড়পড়তা সূচক স্কোর বৃদ্ধি পাওয়া, সরকারি নীতির পেছনে থাকা উদ্দেশ্যগুলো নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করে। এদিকে, এই গবেষণা বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় গোষ্ঠীদের মুখোমুখি হওয়া সমস্যা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা আরও মজবুতভাবে রক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে একটি সতর্কতামূলক স্মারক হিসাবে কাজ করে।
তথ্যসুত্রঃ
World Watch List 2024 · Serving Persecuted Christians
Worldwide (opendoors.org) এবং Shalom World | Experience a New Media Culture