সপ্তম শতাব্দীতে ইসলাম ধর্ম তার
অস্তিত্ব লাভ করে। ইতিহাসের বিভিন্ন বর্ণনা ও তথ্য থেকে আমরা এ কথা জানতে পারি যে,
সামরিক শক্তি এবং তলোয়ারের ভয় প্রদর্শন করে ইসলাম ধর্মের প্রসার ঘটেছিল। ইসলাম ধর্মের
নবী মুহাম্মাদ তার অনুগামীদের অমুসলিমদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় যুদ্ধ ঘোষণা করার হুকুম জারি
করেছিল। যারা মুহাম্মাদকে ঈশ্বরের পাঠানো শেষ নবী বলে মেনে নিত আর ইসলাম ধর্মকে সৃষ্টিকর্তার
কাছ থেকে শেষ ধর্ম বলে গ্রহণ করে নিত, তাদের প্রাণে বাঁচতে দেওয়া হতো, কিন্তু যারা
অস্বীকার করতো তাদের প্রাণে মেরে ফেলা হতো এবং তাদের ঘরবাড়ি জমিজমা সম্পত্তি লুট করে
নেওয়া হতো। শুধু তাই নয়, অমুসলিম নারীদের মুহাম্মাদ ও তার অনুগামীরা যৌনদাসী হিসেবে
নিজেদের কাছে এনে রাখতো। এদের মধ্যে অনেকেই ছিল বিবাহিত নারী, যাদের সন্তানও ছিল। ইসলাম
ধর্মের নিজস্ব প্রাচীন দলিল (হাদিস) ও পুঁথি থেকে ওই সমস্ত ঘটনার বর্ণনা পাওয়া
যায়। কোরানে অমুসলিমদের (কাফের/كَافِر) বিষয়ে
মুসলিমদের কি বলা হয়েছে তার সামান্য কয়েকটা উদাহরণ নিচে দেওয়া হল।
“তাদেরকে যেখানেই
পাও হত্যা কর এবং তাদেরকে
বের করে দাও যেখান থেকে তারা তোমাদেরকে বের করে দিয়েছে। বস্তুতঃ ফিতনা হত্যার চেয়েও
গুরুতর। তোমরা মাসজিদে হারামের নিকট তাদের সাথে যুদ্ধ করো না, যে পর্যন্ত তারা তোমাদের
সাথে সেখানে যুদ্ধ না করে, কিন্তু যদি তারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে, তবে তোমরাও
তাদের হত্যা কর, এটাই কাফিরদের প্রতিদান”। (কোরান ২:১৯১)
“মু’মিনগণ যেন মু’মিনগণ ছাড়া কাফিরদের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করে, মূলতঃ যে এমন করবে আল্লাহর সাথে তার কোন কিছুরই সম্পর্ক নেই…” (কোরান ৩:২৮)
“যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আর যমীনে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে বেড়ায় তাদের শাস্তি হল এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে অথবা তাদের হাত পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলা হবে, অথবা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে। এ হল তাদের জন্য দুনিয়াতে লাঞ্ছনা, আর তাদের জন্য আখেরাতে রয়েছে মহাশাস্তি”। (কোরান ৫:৩৩)
“…অচিরেই আমি কাফিরদের দিলে ভীতি সঞ্চার করব, কাজেই তাদের স্কন্ধে আঘাত হান, আঘাত হান প্রত্যেকটি আঙ্গুলের গিঁটে গিঁটে”। (কোরান ৮:১২)
“হে নাবী! যুদ্ধের ব্যাপারে মু’মিনদেরকে উদ্বুদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে বিশজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দু’শ জনের উপর জয়ী হবে এবং তোমাদের মধ্যে (ঐরূপ) একশ’জন থাকলে তারা একহাজার কাফিরের উপর বিজয়ী হবে। কেননা তারা হচ্ছে এমন লোক যারা (ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে) কোন বোধ রাখে না”। (কোরান ৮:৬৫)
“তারপর (এই) নিষিদ্ধ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলে মুশরিকদেরকে যেখানে পাও হত্যা কর, তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে ঘেরাও কর, তাদের অপেক্ষায় প্রত্যেক ঘাঁটিতে ওৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু তারা যদি তাওবাহ করে, নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত আদায় করে, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও, নিশ্চয়ই আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু”। (কোরান ৯:৫)
“তোমরা যদি যুদ্ধাভিযানে বের না হও, তাহলে তোমাদেরকে ভয়াবহ শাস্তি দেয়া হবে, আর তোমাদের স্থলে অন্য সম্প্রদায়কে আনা হবে (অথচ) তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান”। (কোরান ৩:৩৯)
“যুদ্ধাভিযানে বেরিয়ে পড়, অবস্থা হালকাই হোক আর ভারীই হোক (অস্ত্র কম থাকুক আর বেশি থাকুক) আর আল্লাহর রাস্তায় তোমাদের মাল দিয়ে আর তোমাদের জান দিয়ে জিহাদ কর, এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, তোমরা যদি জানতে!” (কোরান ৯:৪১)
“হে নাবী! কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, তাদের প্রতি কঠোরতা অবলম্বন কর, তাদের বাসস্থান হল জাহান্নাম, আর তা কতই না নিকৃষ্ট আশ্রয়স্থল!” (কোরান ৯:৭৩)
“হে মু’মিনগণ! যে সব কাফির তোমাদের নিকটবর্তী তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, যাতে তারা তোমাদের মধ্যে দৃঢ়তা দেখতে পায়, আর জেনে রেখ যে, আল্লাহ মুত্তাকীদের সঙ্গে আছেন”। (কোরান ৯:১২৩)
“অতঃপর যখন তোমরা কাফিরদের সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের ঘাড়ে আঘাত হানো, অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাস্ত কর, তখন তাদেরকে শক্তভাবে বেঁধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের থেকে মুক্তিপণ গ্রহণ কর। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে, যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করে। এ নির্দেশই তোমাদেরকে দেয়া হল। আল্লাহ ইচ্ছে করলে (নিজেই) তাদের থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের একজনকে অন্যের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান (এজন্য তোমাদেরকে যুদ্ধ করার সুযোগ দেন)। যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয় তিনি তাদের কর্মফল কক্ষনো বিনষ্ট করবেন না”। (কোরান ৪৭:৪)
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইয়াহূদ ও নাসারাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না, তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ যালিমদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না”। (কোরান ৫:৫১)
কোরানের যে সমস্ত আয়াতগুলি আপনি
এই মাত্র পড়লেন তা থেকে সহজেই অনুমান করতে পেড়েছেন যে অমুসলিম ও খ্রীষ্টানদের বিষয়ে
কেমন ধরণের কথা বলা হয়েছে। এ ধরণের আরও অনেক কথা কোরান এবং হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে
যা এই নিবন্ধে আমি তুলে ধরলাম না। একবার ভেবে দেখুন, প্রভু যীশু খ্রীষ্টের শিক্ষা ও
আদর্শের সাথে কোরান ও ইসলাম ধর্মের শিক্ষায় কতটা তফাৎ, কতটা অমিল! যেখানে প্রভু যীশু
তাঁর অনুগামীদের তার শত্রুদের ক্ষমা করতে বলে গেছেন এবং বলে গেছেন তাদের জন্য মঙ্গল
প্রার্থনা করতে যারা তাদের ক্ষতি করে (মথি ৫:৪৮, লুক
৬:২৭-২৮ এবং ৩২-৩৬), সেখানে কোরান একেবারে উল্টো কথা বলেছে। বলাই বাহুল্য,
সারা বিশ্বে মুসলিমদের দ্বারা যে সমস্ত সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ঘটনা খবরের শিরনামের
প্রায়ই দিনই উঠে আসে, তাতে কোরানের উল্লিখিত আয়াতগুলির সত্যতা প্রমাণ করে।
সালটা ২০০৯, তখন “বোকো হারাম”
(Boko Haram)
নামের একটি সন্ত্রাসবাদী সুন্নি মুসলিম সংগঠন পশ্চিম আফ্রিকার আটলান্টিক মহাসাগরীয়
উপকূলে অবস্থিত সার্বভৌম রাষ্ট্র নাইজেরিয়াতে সম্পূর্ণভাবে ইসলামের ধর্মের আইন,
যাকে ‘শারিয়া’ (Sharia Law) বলা হয়, তা
প্রতিষ্ঠা করবার উদ্দেশ্যে সাধারণ নিরিহ মানুষকে, নারী শিশু বৃদ্ধ নির্বিশেষে হত্যা
করে চলেছে। সে বছর এই সন্ত্রাসবাদী মুসলিম সংগঠনটি প্রায় ৩৫,০০০ মানুষকে হত্যা করে
এবং ২ লাখেরও বেশী মানুষকে ঘর ছাড়া করে দেয়। শুধু তাই নয়, এরা বহু মানুষকে জ্যান্ত
পুড়িয়ে মারে এবং অনেকের মাথা কেটে হত্যা করে তার ভিডিও ধারণ ক’রে বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে
সেই ভিডিও আপলোড করতে থাকে। এই সংগঠনের পৈশাচিক নৃশংসতা দেখে নাইজেরিয়ার প্রশাসনিক
ক্ষমতায় সমাসীন থাকা আধিকারিকরা শুরু করে দেশের স্বনামধন্য মানব অধিকার সংগঠনগুলির
রাতের ঘুম উড়ে যায়। যখন কী ভাবে তারা সাধারণ মানুষকে এই পৈশাচিক সংগঠনের হাত থেকে রক্ষা
করবে সেই কথা ভাবছে, তখন বোকো হারাম আফ্রিকার অন্যান্য মুসলিমদের তাদের সংগঠনে
যোগ দেওয়ার জন্য ডাক দিচ্ছিল।
সাল ২০১৪, তখন বোকো হারাম
নামের এই মুসলিম সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি নাইজেরিয়াতে তাদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করে মানুষের
উপর নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছে। ঐ বছরের ঘটনা, যখন তারা নাইজেরিয়ার চিবকের ২৭৬ জন স্কুল
ছাত্রীদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল খ্রীষ্টান মেয়েরা। বোকো হারামের
মুসলিম অপহরণকারীরা সেই মেয়েদেরকে ক্রমাগত ধর্ষণ করতো, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা গর্ভবতী
না হয়ে পড়ত। আর বাকিদের তারা যৌনদাসী হিসেবে নিজেদের কাছে রাখতো না হয় যৌনদাসী হিসেবে
বিক্রি করে দিত। নাইজেরিয়ার খ্রীষ্টীয় ধর্মপল্লী, মাইদুগুরির (Maiduguri) ধর্মপাল অলিভার ড্যাশে ডোয়েম্যে (Bishop Oliver Dashe Doeme) এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের
অত্যাচারের কথা শুনে মর্মাহত হয়েছিলেন। বহু খ্রীষ্টানকে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছিল,
হারাতে হয়েছিল তাদের আদরের সন্তানদের। এমন অবস্থায় অক্টোবর মাসের এক সন্ধ্যা বেলায়
ধর্মপাল অলিভার তাঁর গীর্জার ছোট চ্যাপেলে গিয়ে পবিত্র সংস্কার (Blessed Sacrament) সামনে বসে ঈশ্বরের কাছে আন্তরিক ভাবে
প্রার্থনা করতে থাকেন। কিভাবে এই মুসলিম সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হাত নাইজেরিয়ার মানুষকে
বাঁচানো যায়, এই বিষয়ে তিনি প্রভু ঈশ্বরের কাছে সাহায্য চাইছিলেন। এমন সময় ধর্মপাল
অলিভার এর সামনে এসে দাঁড়ান স্বয়ং প্রভু যীশু! তাঁর হাতে ছিল একটি চকচকে ধাতুর তলোয়ার!
প্রভু যীশু কোনও কথা বলছিলেন না। তখন ধর্মপাল অলিভার প্রভুকে প্রশ্ন করেনঃ “প্রভু,
এটা কী?”। তখনও প্রভু যীশু তাঁকে কোন উত্তর দিলেন না বরং সেই ধাতুর তলোয়ারটা দেওয়ার
ভঙ্গীতে ধর্মপালের দিকে বারিয়ে দিলেন। যে মাত্র ধর্মপাল অলিভার সেই ধাতুর তলোয়ার হাতে
নিলেন, তা তক্ষণই একটি রোজারী জপমালায় পরিণত হল। ধর্মপাল আশ্চর্য হয়ে গেলেন। প্রভু
যীশু এইবার কথা বলতে শুরু করলেন। প্রভু যীশু ধর্মপালকে বললেনঃ “বোকো হারাম শেষ!
বোকো হারাম শেষ! বোকো হারাম শেষ!”। এই বলে প্রভু যীশু অদৃশ্য হয়ে গেলেন।
প্রভু যীশুর বার্তা স্পষ্ট ছিল।
তিনি তাঁর ধর্মপালকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, রোজারী জপমালার প্রার্থনা দ্বারা মুসলিম
সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বোকো হারাম পরাজিত হবে। আর তাই হয়েছিল। এ কথা জেনে রাখা দরকার যে,
বোকো হারাম ওই ধর্মপল্লীকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। বোকো হারাম যদি জনসাধারণের মধ্যে
এমন কাউকে দেখতে পেত বা জানতে পারত যে সে ব্যাক্তি একজন ক্যাথলিক, তাকে সঙ্গে সঙ্গেই
মেরে ফেলত! তা সত্ত্বেও ধর্মপাল অলিভার সেই অঞ্চলের গ্রামে গ্রামে গিয়ে পবিত্র রোজারী
জপমালা প্রার্থনা করবার জন্য সকল খ্রীষ্টানদের একত্র করতে লাগলেন। নারী-পুরুষ ও যুবক-বৃদ্ধ
নির্বিশেষে সকলেই মুসলিম সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বোকো হারামকে পরাজিত করবার জন্য নিয়মিত
আন্তরিকভাবে পবিত্র রোজারী জপমালার প্রার্থনা শুরু করে দিল। এই প্রার্থনা শুরু করবার
মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই বোকো হারাম সংগঠনটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সন্ত্রাসবাদীদের অনেকেই
সামরিক বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এই ভাবে ওই মুসলিম সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি নাইজেরিয়ার
ঐ ধর্মপল্লি থেকে পুরোপুরি ভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। যাদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল,
তাদের অনেকেই বাড়ি ফিরে আসে। নষ্ট হয়ে যাওয়া গীর্জাগুলো পুনরায় সংস্কার করা শুর করা
হয়। এর চাইতেও বড়ো কথা বহু সুন্নি মুসলিম ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে ক্যাথলিক মণ্ডলীতে ব্যাপ্তিস্ম
গ্রহণ করে।
ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা আজও খ্রীষ্টানদের
উপর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ তারা খ্রীষ্টবিরোধী
আত্মিক (Anti-Christ) প্রেরণা দ্বারা পরিচালিত।
কিন্তু ঈশ্বর খ্রীষ্টানদের পাশে সবসময়ই থাকেন। তিনি নিষ্কলঙ্ক কুমারী মারীয়াকে বহুবার
পাঠিয়ে ছিলেন তাঁর প্রতিষ্ঠিত খ্রীষ্ট মণ্ডলীর কাছে। তিনি কুমারী মারীয়ার মাধ্যমে খ্রীষ্টানদের
হাতে এই যুগের সবচাইতে শক্তিশালী আত্মিক অস্ত্র তুলে দিয়েছেন, তা হল পবিত্র রোজারী
জপমালা। এর দ্বারা খ্রীষ্টানরা, সমস্ত খ্রীষ্টবিরোধী শক্তিগুলোকে পরাজিত করতে পারে
এবং যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বরত্বকে অবিশ্বাসী ও বিধর্মীদের কাছে প্রমাণ করতে পারে। শয়তান
রোজারী জপমালার প্রার্থনাকে ভয় পায়। যে সকল মানুষ শয়তানের প্রেরণা দ্বারা চালিত, তারা
সকলেই রোজারী জপমালাকে ঘৃণা করে, এই ধরণের মানুষ রোজারী জপমালার বিরুদ্ধি প্রচার চালায়।
তাই প্রতিদিন, নিয়মিত পবিত্র রোজারী জপমালার প্রার্থনা করুন, যাতে আপনি, আপনার পরিবার,
আপনার প্রিয় মানুষ এবং আপনার মণ্ডলীর সমস্ত সদস্যরা যেন সুরক্ষিত থাকে।
তথ্যসূত্রঃ
১. https://www.catholicnewsagency.com/news/34694/is-this-bishop-right-about-the-rosary-conquering-boko-haram
২. https://www.catholic.org/news/international/africa/story.php?id=71215
৩. https://www.ncregister.com/news/nigerian-bishop-doeme-combats-boko-haram-with-rosary-battle-plan
৪. https://premierchristian.news/en/news/article/nigerian-bishop-rosary-will-defeat-boko-haram
৫. https://cruxnow.com/cns/2022/07/nigerian-bishop-says-vision-of-christ-gave-him-hope-for-end-of-boko-haram
৬. https://onepeterfive.com/did-jesus-tell-this-bishop-how-to-defeat-boko-haram/
৭. https://en.wikipedia.org/wiki/Boko_Haram
৮. https://www.britannica.com/topic/Boko-Haram
৯. https://www.bbc.com/news/topics/c50znx8v435t