ZoyaPatel

নারীদের সম্পর্কে রামকৃষ্ণের আপত্তিকর মন্তব্য!

Mumbai

 



এমন কোনও হিন্দু বাড়ি পাওয়া কঠিন হবে, যে বাড়িতে রামকৃষ্ণের ছবি নেই, বা যে বাড়িতে রামকৃষ্ণকে ঠাকুর বলে ভক্তি কিংবা পূজা করা হয়না। হিন্দু সম্প্রদায়ের একটা মারাত্মক দূর্বলতা আছে। সত্যকে যাচাই বাছাই না করেই তারা খুব সহজেই যে কোনও মানুষকে বা বস্তুকে ঈশ্বরের স্থানে বসিয়ে দেয়। তাই এ কথা বললে ভুল হবে না, এই জাতির পতন ও বিনাশের মূল কারণ তারা নিজেরাই। এবং তাদের অন্ধ বিশ্বাস।

 

জানলে অবাক হবেন, যে রামকৃষ্ণকে হিন্দু জাতি এত ভক্তি শ্রদ্ধা করে, তাকে ঠাকুর বলে সম্বোধন করে, সেই রামকৃষ্ণই নারী জাতির সম্বন্ধে খুবই সংকীর্ণ চিন্তা ভাবনা পোষণ করতেন। তিনি নারীদের সম্বন্ধে বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন। তাঁর জীবনের ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, তিনি নাকি গ্রামের মহিলাদের তাদের স্নান করবার সময় গাছের আড়াল থেকে লুকিয়ে দেখতেন। গ্রামের মহিলারা এই নিয়ে একবার রামকৃষ্ণের মায়ের কাছে তার ছেলের ওই অসভ্য আচরণের বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল। এ ছাড়াও রামকৃষ্ণের নামে এমন কিছু অভিযোগ আছে, যা উল্লেখ করলে কেউ সহজে বিশ্বাস করতে চাইবে না। কারণ তিনি যে আজ অনেকের প্রাণের “ঠাকুর” হয়ে উঠেছেন!!! এখানে আমরা আজ সেই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো না। তবে আজ আমরা জানবো, তিনি নারীদের সম্বন্ধে কী কী বলতেন।


নারীদের সম্বন্ধে রামকৃষ্ণ বলতেনঃ

১. মেয়ে মানুষের কাছে খুব সাবধান হ’তে হয়। মেয়ে ত্রিভুবন দিলে খেয়ে।

২. আমি মেয়ে বড় ভয় করি। দেখি যেন বাঘিনী খেতে আসছে। তার অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ, ছিদ্র সব খুব বড় বড় দেখি! সব রাক্ষসীর মত দেখি।

৩. মেয়ে মানুষের শরীরে কি আছে – রক্ত, মাংস, চর্বি, নাড়ীভুঁড়ি, কৃমি, মূত্র, বিষ্ঠা এই সব। সেই শরীরের উপর ভালবাসা কেন?

৪. দেখ না, মেয়ে মানুষের কি মোহিনী শক্তি, অবিদ্যারূপিনী মেয়েদের! পুরুষগুলোকে যেন বোকা অপদার্থ করে রেখে দেয়। যখনই দেখি স্ত্রী-পুরুষ এক সঙ্গে বসে আছে, তখন বলি, “আহা! এরা গেছে”।

৫. হাজার ভক্ত হলেও মেয়েমানুষকে বেশীক্ষণ কাছে বসতে দেই না। একটু পরে হয় বলি – ‘ঠাকুর দেখো গে যাও’; তাতেও যদি না উঠে, তামাক খাবার নাম করে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ি।

৬. যদি স্ত্রীলোক ভক্তিতে গড়াগড়ি যায়, তবুও তার কাছে যাতায়াত করবে না। মেয়ে মানুষের সঙ্গে থাকলেই তাঁদের বশ হয়ে যেতে হয়।

৭. মেয়ে ভক্তদের গোপাল ভাব- ‘বাৎসল্য ভাব’ বেশি ভাল নয়। ঐ ‘বাৎসল্য’ থেকেই আবার একদিন ‘তাচ্ছল্য’ হয়।

৮. মেয়ে মানুষের গায়ের হাওয়া লাগাবে না; মোটা কাপড় গায়ে দিয়ে থাকবে, পাছে তাঁদের হাওয়া গায় লাগে।


কী ভাবছেন? এ সব কথা বিশ্বাস হচ্ছে না? হ্যাঁ, হিন্দু সম্প্রদায়ের জনপ্রিয় প্রাণের ঠাকুর নারীদের ব্যাপারে এই সব কথাই বলতেন। তাঁর এই সব কথা আপনিঃ “শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, শ্রীম কথিত, অখণ্ড সংস্করণ, উদ্বোধন কার্যালয়ের গ্রন্থ”, থেকে পেয়ে যাবেন।


বর্তমানে যেখানে নারীদের শিক্ষা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রকল্পে কাজ করা হচ্ছে, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে রামকৃষ্ণের মতো একজন ব্যক্তির বক্তব্য যা নারীদেরকে অসম্মান করে, তা কী গ্রহণযোগ্য হতে পারে? আপনি কি আপনার মা কে, বোনকে, স্ত্রীকে বা প্রেমিকাকে, রামকৃষ্ণের উল্লিখিত দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখবেন? এটা বরং আপনিই বিবেচনা করে দেখুন।

Ahmedabad